
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান।
ডেক্স রিপোর্ট:
তীরে এসে তরী ডোবালো বাংলাদেশ। ৬ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল টাইগারদের সামনে, কিন্তু ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় মাত্র ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্যও তাড়া করা সম্ভব হলো না। দুবাইতে বৃহস্পতিবার অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল সালমান আলীর দল। এর ফলে এশিয়া কাপের শিরোপার মঞ্চে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।
স্বল্প পুঁজি নিয়েও লাল সবুজদের হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে পা রাখল পাকিস্তান। ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন শামীম হোসেন। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হতাশ করেন টাইগার ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ওয়ান ডাউনে নামা তাওহীদ হৃদয় (৫) এবং ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করা সাইফও (১৮) দ্রুত বিদায় নেন। শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের পেস তোপে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
মিডল অর্ডারে মেহেদী হাসান (১১) ও নুরুল হাসান সোহান (১৬) আশা জাগিয়েও হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট এবং এরপর ২১ বলে ১৬ রান করে সোহানের বিদায়ে বড় পরাজয়ের দিকে এগোতে থাকে টাইগাররা। অধিনায়ক জাকের আলীও (৫) প্রত্যাশিত ভূমিকা নিতে পারেননি।
সপ্তম উইকেটে শামীম হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। জয়ের জন্য যখন ২০ বলে ৩৯ রান দরকার, তখনই শাহিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ২৫ বলে ২ ছক্কায় ৩০ রান করা শামীম। এরপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। শেষদিকে রিশাদ হোসেনের অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংসে শুধু হারের ব্যবধানই কমে।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি মাত্র ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ। এছাড়া সাইম আইয়ুব ১৬ রান খরচায় ২টি উইকেট পান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। একসময় ৪৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম সঙ্কটে ছিল সালমান আলীর দল। তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শতরান তোলাও কঠিন মনে হচ্ছিল।
তবে এরপর টাইগারদের ফিল্ডিংয়ে হঠাৎ ছন্দপতন হয়। পাকিস্তানি ব্যাটাররা তিনবার জীবন পান। জীবন পেয়ে শাহিন আফ্রিদি দুটি ছক্কা হাঁকান, আর এক জীবন পেয়ে মোহাম্মদ নাওয়াজ ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। মোহাম্মদ হারিসও ২৩ বলে ৩১ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ইকোনোমিক বোলিং করে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। মেহেদীও ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট পান।