
ঢাবি প্রক্টরের আবেগঘন পোস্ট। Banglaralo24 Tv
ডেক্স রিপোর্টঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির একটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর তিনি নিজের নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।
মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনের সময় উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে ছাত্রদল-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভির বারী হামিমের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় মোনামি পদত্যাগের হুমকি দিলে হামিম পাল্টা মন্তব্য করেন, “আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী যায় আসে?” এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
ঘটনার পর শেহরীন আমিন মোনামি তার ফেসবুক পোস্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে গভীর কষ্ট ও হতাশা প্রকাশ করেন। লোকপ্রশাসন বিভাগের এই শিক্ষক, যিনি এর আগেও ছাত্র আন্দোলন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য পরিচিত, সরাসরি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি লেখেন, “আমি কি কখনো পক্ষপাতদুষ্ট ছিলাম? আমি কি কখনো তোমাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চেয়েছি?… তাহলে আজ কেন এসব অভিযোগ?”
গত আগস্টে সহকারী প্রক্টর হিসেবে যোগ দেওয়া মোনামি জানান, তার কোনো প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না, তিনি কেবল প্রিয় শিক্ষাঙ্গনের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালে নিরাপত্তা ইনচার্জ হিসেবে তিনি কঠোরভাবে আচরণবিধি বাস্তবায়ন করেছেন এবং এতে তার কোনো অনুশোচনা নেই।
মোনামি তার পোস্টে উল্লেখ করেন যে, ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবস, পহেলা বৈশাখ, ১৪ জুলাইয়ের কনসার্ট এবং ৫ আগস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো তিনি সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি শুধু একজন শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি অভিযুক্ত, হয়রানির শিকার…। এই কষ্ট আমি কোনোদিন ভুলব না।”
তবে মোনামি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনকে নষ্ট করতে না পারে। তিনি লেখেন, “তোমরা এতদিন পর এত সুন্দর একটি নির্বাচন করেছো। দয়া করে স্বার্থান্বেষী মহলকে এটা নষ্ট করতে দিও না।”