স্টাফ রিপোর্টারঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এর প্রধান প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ (নির্দিষ্ট তারিখের উল্লেখ নেই, তবে এটি একটি সাম্প্রতিক সংবাদ) ঘোষণা করেছেন যে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠন হিসেবে যেসব অপরাধ করেছে তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
আইসিটি প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান প্রসিকিউটর এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। তিনি নিশ্চিত করেন যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে এবং এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সংস্থা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর, আওয়ামী লীগকে একটি পক্ষ হিসেবে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দলটির অপরাধ প্রমাণিত হলে কী ধরণের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রধান প্রসিকিউটর আইনের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, আইনে রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য স্পষ্ট বিকল্পগুলির উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- দলটিকে নিষিদ্ধ করা
- অন্যান্য ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা
- সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা
- এর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নির্দেশ জারি করা
তবে তিনি আরও যোগ করেন যে এই বিষয়গুলি পরীক্ষা করা হবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া এবং মামলাটি বিচারের পর্যায়ে পৌঁছানোর পরেই।
তদন্তটি কেবল আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করবে, নাকি ১৪-দলীয় জোটের আওতাধীন অন্যান্য দলগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এই প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম স্পষ্ট করে জানান যে তদন্ত এখন কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, “যদি পরে মনে করা হয় যে অন্যান্য দলও অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, তাহলে আমাদের তদন্ত সংস্থা সেই অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
আইসিটি প্রধান প্রসিকিউটরের এই ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তদন্তের অগ্রগতি এবং চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে এখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ।