
কারাগারে ভারতীয় বৃদ্ধা সাকিনা বেগম।
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের আসাম রাজ্যের ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা সাকিনা বেগমকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমনের আদালত এ আদেশ দেন। শুনানির সময় সাকিনা বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ভাষানটেকের টেকপাড়া গলি থেকে সাকিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অপরাধে ‘দ্যা কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি এ্যাক্ট, ১৯৫২’ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে ভাষানটেক থানা-পুলিশ।
শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাষানটেক থানা এসআই শেখ আলী সনি তাকে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাষানটেক থানাধীন টিনসেড টেকপাড়া গলির মাথায় সাকিনা বেগমকে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যে। তবে তার কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। তিনি কীভাবে এসব ছাড়া বাংলাদেশে এসেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। আসামের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলা সাকিনা বেগমকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মে মাসের ২৫ তারিখ আসামের নলবাড়ি জেলার বরকুরা গ্রাম থেকে পুলিশ সাকিনা বেগমকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় শুধুমাত্র একটি সই করানোর কথা বলে। এরপরে তাকে আর বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
ওই সময়ে আসামের আরও অনেক মানুষকে একই কায়দায় ‘সই’ করানোর নাম করে থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকের ঠাঁই হয় ‘বিদেশী’দের আটক শিবিরগুলোতে, আবার কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা সাকিনা বেগমের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।