কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
ভূমি সেবা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের তালিকায় যুক্ত হলো নতুন মাত্রা। কুষ্টিয়া সদর ভূমি অফিসে প্রসেস সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এক নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর একজন ভুয়া কর্মচারী, রুবেলকে দিয়ে অফিসের কাজ পরিচালনা করছেন এবং মিস কেসের আবেদনপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রুবেল নামের এই ব্যক্তি ভূমি অফিসের কোনো স্টাফ নন, তবে তিনি প্রসেস সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীরের হয়ে কাজ করেন বলে স্বীকার করেছেন। রুবেল প্রাথমিকভাবে ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে জানান, তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে ‘বকশিশ’ হিসেবে দুই-তিনশো টাকা নেন। তবে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন
প্রসেস সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দাবি করেন, তার মোটরসাইকেল নষ্ট হওয়ায় রুবেলকে পাঠিয়েছিলেন। রুবেল দেড় বছর ধরে এই কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ১৫ দিন অসুস্থ থাকায় রুবেলকে দিয়ে কাজ করিয়েছেন। নিয়মবহির্ভূত এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও বোঝাতে চেয়েছেন যে বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তা অবগত আছেন।
গত ২৬ মে, ২০২৫ তারিখে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে ভূমি সেবা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনা আবারও ভূমি অফিসের কর্মচারীদের ওপর নজরদারির গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামীম হোসেনকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন। এই ঘটনায় ভূমি অফিসের স্বচ্ছতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।