
ঝালকাঠিত ছাত্রী উত্ত্যক্তে বাধা দেয়ায় বখাটের হামলায় প্রধান শিক্ষকসহ আহত-৩, আটক-২।
মাছুম বিল্লাহ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় আমুয়া বন্দর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা বখাটে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় দুই শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। ঘটনা শেষে স্থানীয় জনতা দুই হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমুয়া বন্দর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পথে-ঘাটে কু-প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করত এলাকার বখাটেরা। গত বুধবারও রাব্বী হাওলাদারসহ (১৮) ৩/৪ জন বখাটে স্কুলের ভেতরে আড্ডা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাদের বের করে দেন। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই বখাটে রাব্বী হাওলাদার ও তার এক সঙ্গী পুনরায় স্কুলে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক তাদের কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বী হাওলাদার স্কুলের জানালার শিক ভেঙে প্রধান শিক্ষকের পিঠে আঘাত করে। একই সময়ে সঙ্গে থাকা অপর বখাটে বাইরে থেকে অন্যান্য সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী রিমন ও রাকিব হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থীও আহত হয়।
পরে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা এসে ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী রাব্বী হাওলাদার ও দুলাল হাওলাদারকে (৫০) আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
আহত প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা জানান, বখাটেপনা, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কারণে (২০২২ সালে) এই রাব্বী হাওলাদারকে স্কুল থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা বাদী হয়ে বখাটে রাব্বী হাওলাদার (১৮), বাবু ইব্রাহীম (৩০), ইয়াসিন (১৯) ও দুলাল হাওলাদারকে (৫০) আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কাঁঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মংচেনলা জানান, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।