
টি-টোয়েন্টিতে 'বিন্দুদের রাজা' মুস্তাফিজুর
খেলাধুলা ডেক্স:
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক ডট বল করার বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল (শুক্রবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঝারি মানের পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় এই অনন্য রেকর্ডটি নিজের নামে করে নেন।
মুস্তাফিজুর রহমান এই ম্যাচে চার ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তবে, এই স্পেলে করা তাঁর সাতটি ডট বল তাঁকে বিশ্বরেকর্ডের শিখরে পৌঁছে দেয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের মোট ডট বলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪২টি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো চার-ছক্কার খেলায়, যেখানে প্রতি বলে রানের ঝড় ওঠে, সেখানে প্রতিটি ডট বলই সোনা বা তার চেয়েও বেশি মূল্যবান। এই ফরম্যাটে রান আটকে রাখার ক্ষেত্রে মুস্তাফিজুর এখন বিশ্বসেরা।
তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গতকাল পোস্ট করা হয়, “আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ডট বল করার রেকর্ড এখন মুস্তাফিজুর রহমানের – ১১৪২!”
মুস্তাফিজুর এখন পর্যন্ত ১২০ ইনিংসে ২৬১৬টি বৈধ ডেলিভারি করেছেন, যার মধ্যে ১১৪২টিই ছিল ডট ডেলিভারি। এর মানে, তাঁর ৪৩.৬৫ শতাংশ বলে ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারেননি। মোট ৩১৯৫ রান দিয়েছেন তিনি।
মুস্তাফিজুর রহমান, নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার টিম সাউদি (১,১৩৮ ডট) এবং বাংলাদেশের আরেক তারকা সাকিব আল হাসান (১,০৭৮ ডট) – এই তিনজনই একমাত্র বোলার যারা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১,০০০ এর বেশি ডট বল করেছেন।
তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের লেগ-স্পিনার আদিল রশিদ এবং আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ৮৩৮টি ডট বল করে ১১তম স্থানে রয়েছেন, যা তাঁর মোট ডেলিভারির ৪৭.৭৪ শতাংশ।
ডট বলের দিক থেকে মুস্তাফিজ শীর্ষে উঠলেও, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তিনি।
- কম ছক্কা দেওয়া: এই তালিকার শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা দিয়েছেন রশিদ খান (৮২)। মুস্তাফিজুর ১০৪টি ছক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন।
- উইকেট শিকার: ১৭৯টি উইকেট নিয়ে রশিদ খান টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। মুস্তাফিজুরের শিকার ১৫২টি।
- ইকোনমি রেট: রশিদ খান তাঁর ৬.১২ ইকোনমি রেট নিয়ে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার দিক থেকে শীর্ষে। মুস্তাফিজুর এই তালিকায় ৭.৩২ ইকোনমি রেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
অসাধারণ এই রেকর্ড গড়ার জন্য মুস্তাফিজুর রহমানের এই অর্জন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক গর্বের বিষয়।