
তিস্তায় পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্ক, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি।
ডেক্স রিপোর্ট:
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা নদীর পানি নামতে শুরু করলেও নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি। পানি কমে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নদীভাঙন আতঙ্ক তীব্র হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ ৫২.১২ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার (৫২.১৫ সেমি.) ৩ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে রবিবার রাতে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ভোগ:
- পানিবন্দি: লালমনিরহাটে প্রায় ৫০ হাজার এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ায় ৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
- ভাঙন: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ডিমলা উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
- কৃষি ও সম্পদ: নিম্নাঞ্চলে আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে এবং বহু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
- ঝুঁকি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সোলেডি স্পার বাঁধ-২ ধসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জেলা প্রশাসকরা বলছেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে। তবে বানভাসি মানুষ বলছেন, সরকারি সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।