
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতি নিয়ে ইসরায়েল-ফ্রান্স বিরোধ তীব্র।
ডেক্স রিপোর্টঃ
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফরাসি পরিকল্পনার জেরে ইসরায়েল ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে খারাপ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’ উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘ভ্রান্ত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
নেতানিয়াহু ম্যাক্রোঁকে লেখা একটি চিঠিতে অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফরাসি ঘোষণা ফ্রান্সে ইহুদি-বিরোধী মনোভাবকে আরও উসকে দিচ্ছে। তিনি এই পদক্ষেপকে ‘হামাস সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’ বলেও উল্লেখ করেন। নেতানিয়াহুর এই কঠোর মন্তব্যের জবাবে এলিসি প্যালেস (ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) জানায়, নেতানিয়াহুর অভিযোগ বিভ্রান্তিকর এবং দায়িত্বহীন। ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ফ্রান্স সবসময় তার ইহুদি নাগরিকদের রক্ষা করে এসেছে এবং করবে।
গত মাসে ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেছিলেন যে, ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের একটি বৈঠকের সময় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে। এই পদক্ষেপের পর থেকেই ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘শান্তির প্রতি শত্রুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে ইহুদি-বিরোধী কার্যকলাপের ঘটনা বেড়েছে, তবে ম্যাক্রোঁর কার্যালয় জোর দিয়ে জানিয়েছে যে তারা এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে, একই ধরনের বিরোধ দেখা দিয়েছে ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করে নেতানিয়াহু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ‘দুর্বল রাজনীতিবিদ’ বলে অভিহিত করেছেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া একজন অতি-ডানপন্থী ইসরায়েলি রাজনীতিবিদের ভিসা বাতিল করলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে অন্তত ১৪৫টি দেশ এখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফ্রান্স দীর্ঘকাল ধরে ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান’-এর পক্ষে কথা বলে আসছে। তাদের মতে, এই স্বীকৃতি হামাসের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ।