
ফেব্রুয়ারি ২৬-এর প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা।
ডেক্স রিপোর্টঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গতকাল রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল – বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সাথে পৃথক বৈঠকের পর তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা তিনি জাতির উদ্দেশে পূর্বঘোষিত সময়সীমার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে এর অন্যথা কোনো প্রচেষ্টা জাতির জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন যে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নির্বাচন হবে।
বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজার প্রসঙ্গও উঠে আসে। অধ্যাপক ইউনূস সকল রাজনৈতিক দলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন যাতে কোনো অসাধু চক্র দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি-র পক্ষ থেকেও শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে অংশ নেন। সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প, আইন, পরিকল্পনা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জুলাই সনদের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করেন।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নুরের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।