
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে এনসিপি’র শোক।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এনসিপি’র যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় বলা হয়, ১৯৩১ সালে জন্মগ্রহণ করা এই প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব ছিলেন গণমানুষের পক্ষের একজন চিন্তক ও রাজনৈতিক শক্তি। শোকবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, খুনি হাসিনার শাসনামলে ফ্যাসিবাদী বয়ান উৎপাদক ও সমর্থক মূলধারার বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের বিপরীতে বদরুদ্দীন উমর সবসময়ই গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এনসিপি জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ‘ডামি-নির্বাচনের’ আগেই তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কথা বলেছিলেন। এছাড়া, জুলাই অভ্যুত্থানকে তিনি ‘গণঅভ্যুত্থান’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন এবং এর ব্যাপকতা স্বীকার করেছিলেন। শোকবার্তায় আরও বলা হয়, ১৯৭২ সালেই তিনি মুজিববাদী সংবিধানকে ‘চিরস্থায়ী জরুরি অবস্থার সংবিধান’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
একজন গবেষক ও লেখক হিসেবে বদরুদ্দীন উমর তাঁর লেখনীতে বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের মুজিববাদী পাঠের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন প্রকৃত চিন্তক ও ইতিহাসবেত্তাকে হারালো বলে এনসিপি মনে করে। নতুন বাংলাদেশে একাত্তরের জনযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধানে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় এনসিপি বদরুদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। তাঁর মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।