
বলপূর্বক অন্তর্ধান প্রতিরোধে নতুন অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন।
ডেক্স রিপোর্টঃ
বলপূর্বক অন্তর্ধানের মতো গুরুতর অপরাধ মোকাবিলায় একটি কঠোর আইন প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হয়েছে সরকার। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘বলপূর্বক অন্তর্ধান প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এই নতুন অধ্যাদেশে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড-এর বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই খসড়া অনুমোদন পায়। সভার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই অনুমোদন এখনো চূড়ান্ত নয়। আরও বিস্তারিত আলোচনার পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করা হবে। এটি আইনে পরিণত হলে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য যথাযথ সুরক্ষা ও প্রতিকার নিশ্চিত করা হবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, এই অধ্যাদেশের খসড়াটি বলপূর্বক অন্তর্ধান তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রণয়নের সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো বলপূর্বক অন্তর্ধানের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করা।
খসড়া অধ্যাদেশে বলপূর্বক অন্তর্ধানকে একটি সুনির্দিষ্ট অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেবে।
এছাড়াও, এই অধ্যাদেশে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা, ভুক্তভোগী, তথ্যদাতা এবং সাক্ষীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আইনি সহায়তা প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।