
হেগসেথ বিশ্বজুড়ে সামরিক কমান্ডারদের ভার্জিনিয়ায় ডেকেছেন।
আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ (Pete Hegseth) বিশ্বজুড়ে নিযুক্ত শত শত শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের একটি বিরল ও জরুরি বৈঠকের জন্য ভার্জিনিয়ার একটি মেরিন কোর ঘাঁটিতে ডেকেছেন। এই আকস্মিক নির্দেশনায় পেন্টাগনের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, কারণ বৈঠকের সুনির্দিষ্ট কারণ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও তাদের কর্মীদের কাছেও স্পষ্ট নয়।
এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এটি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বা তার সমমানের (নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল) পদমর্যাদার এবং কমান্ডিং অবস্থানে থাকা প্রায় সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত—যেমন ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল—থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পার্নেল (Sean Parnell) বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে হেগসেথ “আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে তার জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের সাথে কথা বলবেন,” তবে তিনি এর বেশি কোনো তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন।
সাধারণত এ ধরনের বড় সমাবেশ সুরক্ষিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা হয়, তাই এত সংখ্যক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে সশরীরে ডেকে পাঠানোকে সামরিক বিশেষজ্ঞরা অত্যন্ত অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন। একটি সূত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-কে বলেছে, “মানুষজন খুবই উদ্বিগ্ন। তারা জানেন না এর অর্থ কী।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন যে, “বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বদানকারী জিওএফওদের (GOFOs) ডিসি-র বাইরে একটি অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে আসা হবে, অথচ তাদের কারণ বা এজেন্ডা জানানো হবে না—এটা কোনো রীতি নয়।”
বৈঠকের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। কিছু কর্মকর্তা ধারণা করছেন, এই বৈঠকে নতুন জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে, যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। অন্যদিকে, অনেকে এটিকে প্রতিরক্ষা বিভাগে হেগসেথের চলমান ব্যাপক পরিবর্তনের একটি অংশ হিসেবে দেখছেন। উল্লেখ্য, হেগসেথ এর আগে সামরিক জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার ডিপার্টমেন্ট’ (War Department) করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ইতিমধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই রহস্যময় বৈঠকের নির্দেশনা এমন এক সময়ে এলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে হেগসেথের নির্দেশে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পেন্টাগনের শীর্ষ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।