হাইমচর (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ব্লক সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাটাখালী থেকে জালিয়ার চর পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে হাইমচর উপজেলার মেঘনা পাড়ের মানুষ নদীভাঙনের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের জন্য সরকার হাইমচর উপজেলা রক্ষার জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। হাইমচর উপজেলায় ৬.৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পাথরের ব্লক দিয়ে নদীর সমান্তরালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে নদী তীর সংরক্ষণ করা হয়। এরপর দুই ক্যাটাগরির পাথরের ব্লক ফেলা হয়। নদী তীরে দুই ধরনের ব্লক দিয়ে এর নির্মাণ কাজ করা হয়। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, মেঘনা নদী রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশ ডেবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুরকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা সমন্বয় মিটিংয়েও উত্থাপন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী রক্ষা বাঁধ সংস্কার করা না হলে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
চাঁদপুর পানি উন্নায়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, কাটাখালী থেকে জালিয়ারচর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ কিলোমিটার এর মতো বিভিন্ন স্থানে গর্ত হওয়ার কথা শুনেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাম্পিং করে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।