
২০২৬ তারিখে প্রথম নির্বাচনের প্রথম তারিখ: শফিকুল আলম।
ডেক্স রিপোর্টঃ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কোনো শক্তিই তা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি যে ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো শক্তি এটি ঠেকাতে পারবে না, কোনো ষড়যন্ত্র এটি ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরিবেশ যথেষ্ট অনুকূল।”
শফিকুল আলম আরও জানান যে রবিবার প্রধান উপদেষ্টা তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি—এর সাথে বৈঠক করবেন। বিএনপির সাথে বৈঠকটি বিকেল ৩টায়, জামায়াতের সাথে ৪:৩০ টায় এবং এনসিপির সাথে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এটিকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের “একনিষ্ঠ অঙ্গীকার” বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা ব্যাহত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র, বাধা বা প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দেশের “গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ” দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।
এছাড়াও, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য নেতাদের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। সরকার আহতদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে, এই জঘন্য ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রভাব বা পদ নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তিকেই জবাবদিহিতা থেকে রেহাই দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা এবং দ্রুততার সাথে ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে।”