
এরদোগানের আমন্ত্রণে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বাসস:
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান-এর পক্ষ থেকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৮ অক্টোবর, ২০২৫) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তুরস্কের উপমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বেরিস একিনসি, এবং রাষ্ট্রপতি এরদোগানের এই আমন্ত্রণ বার্তা তিনি পৌঁছে দেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বেরিস একিনসি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগানের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। জবাবে অধ্যাপক ইউনূস জানান যে তিনি নিকট ভবিষ্যতে তুরস্ক সফর করতে পেরে আনন্দিত হবেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উভয় পক্ষ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অংশীদারিত্বের নতুন পথ অনুসন্ধানের বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত একিনসি বাংলাদেশে এটি তাঁর প্রথম সফর উল্লেখ করে তাঁর প্রতিনিধিদলের প্রতি উষ্ণতা ও আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুই দেশের মধ্যেকার ঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা আমাদের সম্পর্ককে আগের চেয়ে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চাই। জুলাইয়ের বিদ্রোহের পর এটি একটি নতুন সূচনা এবং আমাদের দুই দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তির মতো অনেক ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জুলাই বিপ্লবের সময় আহত সাত বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের জন্য তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত একিনসি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রতি তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য তুরস্কের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, “তুরস্ক সর্বদা শিক্ষাকে উৎসাহিত করে এবং বৃত্তি প্রদান করে, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপকারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিময় কর্মসূচি প্রদান করে।”
বৈঠকে সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, এবং পূর্ব ইউরোপ এবং সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।