
গণমাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের প্রকৃত সমস্যাগুলো খুব বেশি গুরুত্ব পায় না: জোনায়েদ সাকি।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি আউটসোর্সিং কর্মচারীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আউটসোর্সিং কর্মীরা মূলত সরকারি ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও তাদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং কর্মীদের শোচনীয় অবস্থা দেশের শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। তিনি অভিযোগ করেন যে, গণমাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের প্রকৃত সমস্যাগুলো খুব বেশি গুরুত্ব পায় না। জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে তরুণ শ্রমজীবীরা মূল শক্তি হিসেবে ছিল এবং পরিবর্তনের পর তারা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করেছিল।
সাকি জানান, আউটসোর্সিং কর্মচারীরা তাদের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেলে প্রথমে তা ন্যায্য বলে স্বীকৃতি পেলেও পরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি এই বিলম্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বীকৃতি দেওয়ার পরও মাসের পর মাস কেটে গেলেও দাবিগুলো পূরণ করা হচ্ছে না।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ তাদের বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে:
ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া এবং কর্মরতদের বয়সসীমা শিথিল করে আত্মীকরণ করা।
বার্ষিক ৫% বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
সর্বনিম্ন বেতন ২৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা এবং বেতন পরিশোধে অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে ‘স্টার’ চিহ্ন প্রথা বাতিল করা।
চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়া এবং চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিত করা।
নতুন টেন্ডারে পুরোনো কর্মীদের বহাল রাখার বিধান চালু করা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান আনিস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক নুর।