
চাঁদপুর অনলাইনে ইলিশ বিক্রির জন্য ৭ ব্যবসায়ী পেলেন নিবন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার:
অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নামে প্রতারণা ও হয়রানি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে যারা নিজেদের চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন, তাদের লাগাম টানতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৭ জন স্থায়ী ব্যবসায়ীকে অনলাইনে ইলিশ বিক্রির জন্য নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।প্রতারণা রোধে চাঁদপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের কাছ থেকে অনলাইনে ইলিশ বিক্রির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। মোট ৪৪টি আবেদনের মধ্যে কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যাওয়ায় ৭ জন ব্যবসায়ীকে এই নিবন্ধন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর, ২০২৫) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
নিবন্ধন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুর, মাছ পল্লী, একিন সপ, তাজা ইলিশ.কম, ইলিশ রানী, রুপালী বাজার, সজিব ইলিশের বাজার চাঁদপুর।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, চাঁদপুরের ইলিশের ঐতিহ্য ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেন কোনোভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে ক্রেতা ঠকানো না হয়।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে ৭ জনকে নিবন্ধন দেওয়া হলো। এই ধরণের নিবন্ধন প্রতিবছর দেওয়া হবে এবং এর জন্য কোনো টাকা নেওয়া হবে না। পরবর্তীতে ১ থেকে ২ বছরের জন্য নবায়নের ব্যবস্থা চালু হলেও তা হবে বিনামূল্যে। কেউ ব্যবসা বন্ধ রাখলে তার নিবন্ধন বাতিল করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের তালিকা জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এতে অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও নিবন্ধনে আগ্রহী হবেন। একইসঙ্গে তিনি প্রতারকদের সতর্ক করে বলেন, “আপনারা হাতিয়ার ইলিশ চাঁদপুরের বলে বিক্রি করবেন না। আমরা এই প্রতারণা প্রতিহত করতে চাই।”
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন জানান, এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না এবং চাঁদপুর জেলার যেকোনো স্থায়ী বাসিন্দা আবেদন করতে পারবেন। সঠিক যাচাই-বাছাই শেষে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. এন জামিউল হিকমা, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশসহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।